শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীর তানোর আধুনিক সড়ক যোগাযোগ বান্ধব উপজেলা হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু ভেকুঁ দালালদের অবৈধ মাটি বাণিজ্যে ও দৌরাত্ম্যে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, এসব ভেকুঁ দালালদের অন্যতম ভারসা এলাকার রাজু, কলমা এলাকার রাশিদুল, মুন্ডুমালা এলাকার পলাশ ও পাঁচন্দর ইউপির সুমন। এসব ভেকুঁ দালালদের অবৈধ মাটি বাণিজ্যে পরিবেশ দুষণ ও পাকা-কাচা রাস্তা নষ্ট হয়ে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে। কিন্তু অধিকাংশক্ষেত্রে প্রশাসন নির্বকার রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার কেউ অভিযোগের দোহায় দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন হলো প্রশাসনের কাজ কি ? কেবলমাত্র অভিযোগ দিলেই তারা কাজ করবে, আর অভিযোগ না দিলে যে কেউ যে কোনো অন্যায় করে পার পেয়ে যাবে? দেশের আইন কি সেটাই বলে ? আবার যারা এসব অপকর্ম করছে তারা প্রভাবশালী এরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাহলে সমাজের সাধারণ মানুষ কি এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে? এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে কে? বা বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে ? তাদের ভয়ে যদি কেউ অভিযোগ না করে তবে কি প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিবে না ? এরা বার বার অপরাধ করে পার পেয়ে যাবে, সরকারি সম্পদ রক্ষা বা দেখভাল করা কি সরকারি কর্মকর্তাদের দাযিত্বের মধ্য পড়ে না- না কি আর্থিক সুবিধা নিয়ে এদের এসব অপকর্মের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে ? সচেতন মহলে ইত্যাদি হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জানা গেছে উপজেলা জুড়ে চলছে কৃষি জমির মাটি কাটার হিড়িক হচ্ছে অবৈধ মাটি বাণিজ্য। এদিকে এসব মাটি পরিবহন করতে গিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ও নির্মাণাধীন পাকা রাস্তা ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে নস্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ পাশাপাশি বাড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এসব রাস্তায় সাধারণ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি চলাচল করতে হচ্ছে, প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে, বিষয়টি যেনো দেখার কেউ নাই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার তালন্দ ইউপির মোহর পুর্বপাড়া গ্রামে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। পাঁচন্দর ইউপির কোয়েল, কামারগাঁ ইউপির ধানুরা, কলমা ইউপির কুসুম পুকুর, নয়টিপাড়া, শংকরপুর, বহাড়া, মুন্ডুমালা পৌরসভার চিনাশো ইত্যাদি এলাকায় রাঁতের আঁধারে মাটি কেটে জমির শ্রেণী পরিবর্তন ও পাকা কাচা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশাসনের নেপথ্যে মদদ ব্যতিত কি এভাবে মাটি বাণিজ্যে করা সম্ভব? সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসি নিবেদন করেও মাটিদস্যু চক্রের অপতৎপরতা বন্ধ করতে পারছে না। আবার অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এতে জনমনে তীব্র অসন্তোষ সৃস্টি ও বিস্ফোরনমুখ পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেকোনো সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম বলেন, জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে কৃষি জমির মাটি কাটার কোনো সুযোগ নাই, তিনি কাউকে কোনো অনুমতি দেননি। খুব শিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।